বাঁধাকপি : খ্রিষ্টপূর্ব চারশ শতক থেকেই বাঁধাকপি ঔষধি হিসাবে স্বীকৃত। রোমানরা উৎসবের দিনে অতিরিক্ত মদ্যপানের আগে বাঁধাকপি কচিপাতা চিবিয়ে খেত মাতাল না হওয়ার জন্য। এটি ক্যাফেটেরিয়ার আক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং যকৃতের উপকার করে। বাইরে ও ভেতরের পাতার চেয়ে একেবারে মাঝামাঝি অংশের পাতায় পুষ্টি বেশি। কারণ এতে ক্যারোটিন বেশি থাকে।
বাঁধাকপির সালফার উপাদান দিয়ে টনিক তৈরি করা হয়। যা কিনা শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণে সাহায্য করে। ভিটামিন কে, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি-এর দারুণ উৎস এ বাঁধাকপি। এ ছাড়া এতে ম্যাঙ্গানিজ, কপার, পটাশিয়াম, আঁশ ও ফলিক অ্যাসিড আছে। বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা যেমন হৃদরোগ, ভেরিকোজ ভেইন, পায়ের ক্ষত, পেপটিক আলসার, ত্বকের শুষ্কতা, অ্যাকজিমা, মানসিক চাপ প্রতিরোধ করে বাঁধাকপি। স্কার্ভি রোগে এটি ফলদায়ক। রক্তের প্রোথ্রোম্বিন তৈরিতে সহায়তা করে বাঁধাকপি। আমাদের দেশে কিছু কিছু বেগুনি বাঁধাকপি পাওয়া যায়। এটি ফাইকোসিয়ানিন সমৃদ্ধ। ত্বকের সুস্থতা, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ, চোখের সুস্থতা ছাড়াও আটিস্টিক শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য বেগুনি বাঁধাকপির রস খুবই উপকারী।
No comments:
Post a Comment