কচুশাকের চেয়ে প্রায় তিন গুণ, লালশাকের চেয়ে দ্বিগুণ এবং কলমিশাকের চেয়ে প্রায় ছয় গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে ফুলকপিতে। আর আয়রন আছে কলমিশাকের চেয়ে ১০ গুণ, মুলাশাকের চেয়ে ১২ গুণ ও পালংশাকের পাঁচ গুণ বেশি। এছাড়া পরিমাণ আলু, মুলা, মিষ্টিকুমড়া, বেগুন, টমেটো, চিচিঙ্গা ও ঝিঙ্গার চেয়ে বেশি আয়রন রয়েছে ফুলকপিতে।
ফুলকপিতে আছে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ও ক্যালসিয়াম, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য ফাইটোকেমিক্যাল। এতে ৮৫% পানি, অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন রয়েছে। নানাগুণে গুণান্বিত এই সবজি রোগ প্রতিরোধক হিসেবে দারুণ উপকারী।এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
মারণ ব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরোধেও কার্যকরি ফুলকপি। এর মধ্যে থাকে সালফোরাপেন, যা ক্যানসার কোষকে মেরে টিউমার বাড়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। স্তন ক্যানসার, কোলন ও মূত্রথলির ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি যোগায় এই ফুলকপি।
হার্ট ভালো রাখে
হার্ট সতেজ রাখে ফুলকপি। এর মধ্যে থাকে সালফোরাফেন ও ফাইবার যা রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং কিডনি ভালো রাখে পাশাপাশি কোলোস্ট্রল কমাতেও সাহায্য করে।
হজম ক্ষমতা বাড়ায়
ফুলকপিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার-জাতীয় উপাদান হজমে সাহায্য করে। এছাড়া ও ফুলকপিতে রয়েছে ফাইবার যা আমাদের শরীরে হজম ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী।
ওজন কমাতে কার্যকরী
কম ক্যলরিযুক্ত খাবারের তালিকায় ফুলকপির স্থান উপরের দিকেই। ফুলকপিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার সামান্য ক্যালোরি ও ফ্যাট যা শরীরে বাড়তি মেদ ঝড়িয়ে ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। তাই যারা শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত তারা নির্দ্বিধায় তাঁদের খাদ্য তালিকায় ফুলকপি রাখতেই পারেন ।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
চোখের যত্নে ফুলকপির কোনো তুলনা হয় না। ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। চোখ সুস্থ রাখতে বেশি করে ফুলকপি খাওয়া উচিত।
চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী
কম ক্যালরিযুক্ত ও উচ্চমাত্রার আঁশসমৃদ্ধ ফুলকপি চুল ভালো রাখে। ত্বকের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে।
চুলকানি নিরাময় করে
চুলকানি প্রতিরোধে দারুন কাজ করে ফুলকপি। শীত কালে অনেক সময় ত্বকে লালচে ভাব বা চুলকানির লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে ওই চুলকানির জায়গায় খানিক টা ফুলকপির পাতা বেটে প্রলেপ লাগিয়ে রাখুন উপশম পাবেন।
মস্তিকের উন্নতি সাধন করে
ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন বি যা মস্তিকে পুষ্টি যোগায় এবং মস্তিষ্কজনিত জটিল রোগের সম্ভবনা ও অনেকাংশে হ্রাস পায়।
শক্তি জোগায়
এই সবজিতে আছে প্রচুর আয়রন। রক্ত তৈরিতে আয়রন রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গর্ভবতী মা ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা মানুষের জন্য ফুলকপি অত্যন্ত জরুরি।
রোগ প্রতিরোধ করে
ফুলকপিতে আছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘কে’, যা এ সময়ের সর্দি, ঠান্ডা, কাশি জ্বর ভাব, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গা-ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ফুলকপির আরও সব প্রয়োজনীয় উপাদান রোগ প্রতিরোধেও অংশ নেয়।
হাড় ও দাঁত শক্ত করে
ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত ও মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড। এর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করে।
এছাড়াও ফুলকপিতে প্রচুর পরিমান ঔষধি গুনাগুন আছে।